ফারুক আহমদ, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২১/১০/২০২৫ ৬:০৪ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় পালং ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে কোর্সে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার খপ্পরে পড়ে রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হওয়ায় প্রশিক্ষণার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সোনারপাড়া সড়কের সোনাইছড়ি গ্রামে ২০২১ সালে পালং ইনস্টিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস নামক প্রতিষ্ঠান চালু করে। এটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হচ্ছে ছলিম উল্লাহ। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে নার্সিং, প্যারামেডিকেল, ম্যাটস ও আই এস টি কোর্স চালু রয়েছে। প্রতিটি কোর্সে ফিঃ হিসাবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা এ সব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিতওয়াইফ কাউন্সিল এটির দেখো ভালো করে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় সোনাইছড়ি থেকে হস্তান্তর করে চলতি বছর কোটবাজারের উত্তর পাশে পালং ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি ম্যাটসের ক্যাম্পাস চালু করে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত শুক্রবার ইনস্টিটিউট মেডিকেল টেকনোলজি ( আই এম টি) কোর্সে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে ফুঁসে উঠে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জড়ো হলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অথচ কোন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। আজ বা কাল রেজিস্ট্রেশন করাবে এভাবে দিন ক্ষেপন করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। অথচ কোর্স ফিঃ হিসাবে প্রতিবছর ৬৭ হাজার টাকা করে আদায় করলেও তাদের দাবি কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পালং ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজি ম্যাটসকে ইনস্টিটিউট মেডিকেল টেকনোলজি ( আই এম টি) কোর্সে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির জন্য কোন অনুমোদন দেননি। অথচ এই প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত কোর্সে সুকৌশলে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরপর তিনটি ব্যাচে অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক শাহ নেওয়াজ বলেন, আই এম টি কোর্সে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আই এম টি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করার জন্য কোন অনুমোদন দেননি। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে আমরা এই কোর্সটি চালিয়ে নিয়ে গেলেও এবছর রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে এই জটিলতায় পড়তে হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড এডমিন মোহাম্মদ আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি নতুন যোগদান করেছি। এসে দেখেছি প্রশিক্ষণার্থীর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জটিলতা। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।
সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া খুবই দুঃখজনক। পক্ষান্তরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পেরে তাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা কার্যক্রমে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নতুন করে জমজমাট ইয়াবা বাণিজ্য

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অঞ্চলে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবা কারবারিরা। বিশেষ করে ...

সেন্টমার্টিনে রিসোর্ট বিক্রির হিড়িক, জীবিকার তাগিদে দ্বীপ ছাড়ছেন অনেকেই

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে রিসোর্ট বিক্রির হিড়িক পড়েছে। একসময় যেখানে একটি রিসোর্ট বা জমি কেনার জন্য দেশের ...

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে ছিনতাইকারীর হাতে রক্তাক্ত টাঙ্গাইলের সাইফুল

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে বেডে কাতরাচ্ছেন সাইফুল নামের এক পর্যটক। ...